ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও নিঃস্বার্থ সঙ্গীর পাশে থাকার গল্প

স্টারডম পেরিয়ে, পর্দার বাইরেও চলছিল এক নীরব যুদ্ধ।
ক্যানসার আক্রান্ত হিনা খান যখন জীবনের কঠিনতম লড়াইটা লড়ছেন, তখন তাঁর পাশে ছিলেন একজন পুরুষ—রকি জয়সওয়াল। শুধু পাশে নয়, ছায়ার মতো, আত্মার মতো। এমনই নিঃস্বার্থ প্রেমের এক অনুপম উদাহরণ তৈরি করেছেন রকি। এই প্রেম শুধু রোমান্টিকতার মোড়কে নয়, আত্মত্যাগ, যত্ন আর মানবিকতার গভীরতায় তৈরি।
সাম্প্রতিক এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে হিনা খান শেয়ার করেছেন বেশ কিছু হৃদয়ছোঁয়া ছবি ও ভিডিও। সেখানে দেখা যায়:
কেমোথেরাপির পর হিনা যখন মাথা ন্যাড়া করেছেন, তাঁর পাশে বসে রকিও একইভাবে মাথা কামিয়ে ফেলেছেন। আবার কিছু ছবিতে দেখা যায় হাসপাতালের কক্ষে চেয়ারে বসে থাকা হিনার পা ম্যাসাজ করে দিচ্ছেন রকি। কখনো বিছানায় বসে থাকা হিনাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছেন, তাঁর মুখে ক্রিম লাগাচ্ছেন, তাঁকে জামা পরিয়ে দিচ্ছেন। এবং, একান্ত মুহূর্তে যখন দুজনের চোখে শুধু নির্ভরতা ও ভালোবাসার ভাষা।
হিনা লিখেছেন:
“আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটির জন্য এই পোস্ট। আমি যখন চুল হারিয়েছিলাম, ও-ও মাথা কামিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে। আমি যখন দুর্বল হয়ে পড়েছি, ও তখন আমার চারপাশে ভালোবাসার এক সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছে। ও-ই আমার আত্মার খেয়াল রেখেছে, যখন আমার নিজের ভেতরেই সবকিছু ভেঙে পড়ছিল।”
তিনি আরও জানান, রকি শুধু একজন প্রেমিক নন, তিনি গাইডিং লাইট—চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনায় সাহায্য করা থেকে শুরু করে, প্রতিটি সিদ্ধান্তে তাঁর পাশে থেকে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।
রকির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হিনা আরও লেখেন:
“তুমি আমায় নিজের প্রতি ভালোবাসতে শিখিয়েছো। তোমার কারণেই আমি আবার নিঃশ্বাস নিতে পারছি। গত দুই মাসে আমি বুঝেছি, তুমি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। আমি দুঃখিত যদি কখনো তোমায় আঘাত করে থাকি।”
এই কথাগুলোর মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে—একজন প্রেমিকের ভূমিকা কেবল ফুল ও ফিল্টার-তোলা ছবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সত্যিকারের ভালোবাসা প্রকাশ পায় সেই সময়ে, যখন জীবন সবচেয়ে অনিশ্চিত ও কঠিন।
হিনা বলেন, “আমরা একসঙ্গে হেসেছি, কেঁদেছি, আবার একে অপরের চোখ মুছে দিয়েছি। ভবিষ্যতেও এই পথ চলা চলবে—একসঙ্গে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন,
“প্রত্যেক নারী যেন রকির মতো একজন পুরুষকে জীবনে পায়—যিনি কেবল ভালোবাসেন না, নিঃস্বার্থভাবে পাশে থাকেন।”
মা/ম
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: