গাজায় খাবারের জন্য হাহাকার, সতর্কবার্তা ডব্লিউএফপি’র!

ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি (WFP) জানিয়েছে, খাবারের অভাবে সেখানে মানুষের জীবন সরাসরি হুমকির মুখে পড়েছে।
শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে, আর প্রতিদিন হাজারো মানুষ না খেয়ে থাকছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির এক শীর্ষ কর্মকর্তার ভাষায়, এমন পরিস্থিতি আগে কখনো দেখা যায়নি। শুক্রবার (১১ জুলাই) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএফপির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কার্ল স্কাউ গাজায় খাদ্য সংকটের এই ভয়াবহতার কথা জানান।
তিনি বলেন, “এটা এমন এক মানবিক বিপর্যয়, যা আমাদের নজরে কখনো আসেনি।” এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষিতে, যেখানে ইসরায়েল টানা ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, ধ্বংস করছে ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল এমনকি খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাও।
ওয়ার ক্ষমতাও এখন চরম সীমিত।” তিনি জানান, গাজাবাসীদের মধ্যে পুষ্টিহীনতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সেখানে বর্তমানে প্রায় ৯০ হাজার শিশু জরুরি ভিত্তিতে পুষ্টিহীনতার চিকিৎসার প্রয়োজন। খাদ্য সংকট এতই তীব্র যে, গাজার প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন দিনের পর দিন না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বারবার গাজায় অবাধ মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানালেও, ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বাধার কারণে সেগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ফলে খাদ্য, ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দিনকে দিন তীব্রতর হচ্ছে।
শা/আ/দি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: