ওসিডি থেকে মুক্তি পেতে বিশ্বভ্রমণ করেছেন এই তরুণ!

শৈশব থেকেই এক মানসিক সমস্যা-অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার (ওসিডি) এ ভুগছেন ক্যামেরুন মোফিড। এ সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি নির্দিষ্ট ধরনের কিছু চিন্তার জালে জড়িয়ে থাকেন। সমস্যাটি তীব্র হয়ে উঠলে জীবনটাই বেশ কঠিন হয়ে উঠতে পারে তাঁর।
মজার ব্যাপার হলো, পৃথিবীর সব দেশ ঘুরতে গিয়ে সেই সমস্যার উপশম হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানি-মিসরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ ক্যামেরুন মোডিফ।
মানসিক সমস্যার জন্য দুর্বিষহ হয়ে ওঠা জীবনধারা থেকে পালাতেই প্রথমে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ক্যামেরুন। পরে এই ভ্রমণই হয়ে ওঠে তাঁর মানসিক পীড়া উপশমের মাধ্যম। বয়স তখন ২০ বছর। একদিন কম্পিউটারে দেখছিলেন, কত মানুষ পৃথিবীর সব দেশে ভ্রমণ করেছেন। দেখলেন, সংখ্যাটা মহাশূন্যে ভ্রমণ করা মানুষের চেয়েও কম। তখনই মাথায় এল, এ কাজটা তো তিনিও করতে পারেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় সবচেয়ে কম বয়সে পৃথিবীর সব দেশে ভ্রমণ করা ব্যক্তির বয়স ২১। ২০ বছর বয়সী মোফিড উপলব্ধি করলেন, সেই রেকর্ড ভাঙা তাঁর পক্ষে বাস্তবসম্মত কোনো লক্ষ্য নয়। তবে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘নোমাডম্যানিয়া’র রেকর্ডের শর্ত একটু আলাদা। কেবল সব দেশে যাওয়াই নয়, বরং স্থানীয়দের সঙ্গে মেশা এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূতাত্ত্বিক বা সাংস্কৃতিক স্থানে যাওয়াকে শর্ত হিসেবে রেখেছে তারা। সেই সময়কার রেকর্ড অনুযায়ী সবচেয়ে কম বয়সে যিনি এ কাজ করতে পেরেছিলেন, তাঁর বয়স ছিল সাড়ে ২৫ বছর। ২০ বছর বয়সী মোফিড এই রেকর্ড ভাঙার সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইলেন।
পড়াশোনার ফাঁকে ঘোরাঘুরি এবং টেনিসের সঙ্গে সম্পৃক্ততার সূত্রে আগেই এক শর মতো দেশ ঘোরা হয়ে গিয়েছিল ক্যামেরুন মোডিফের। লক্ষ্য পূরণ করতে বাকি ছিল নব্বইয়ের কিছু বেশিসংখ্যক দেশ। ভ্রমণের বিশাল খরচ জোগাতে একটি ইভেন্ট মার্কেটিং কোম্পানি খোলেন মোফিড। কীভাবে কম খরচে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়া যায়, তা নিয়ে বিশদ পরিকল্পনা করতে হয়েছিল তাঁকে।
শা/আ/দি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: